
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে যাদের দেখে এসেছিল, তাদেরই পুনরাবৃত্তি আমরা এখন লক্ষ্য করছি। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “কিছু মানুষ বা গোষ্ঠীকে ইদানীং বলতে শুনছি—‘অমুককে দেখলাম, তমুককে দেখলাম, এবার তমুককে দেখুন।’ যাদের কথা তারা বলে, তাদেরকে দেশের মানুষ একাত্তরেই দেখেছে। তারা শুধুমাত্র লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেনি, তাদের সহকর্মীরা মা-বোনদের ইজ্জতও লুট করেছিল। আমরা এই ইতিহাসকে ভুলতে পারি না।”
কিছু নেতার কর্মকাণ্ডকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, “আমরা শুনেছি, একটি রাজনৈতিক দলের কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন জিনিসের টিকিট বিক্রি করছে বা বিভিন্ন নিশ্চয়তা দিচ্ছে। আমি একজন মুসলমান হিসেবে বলি, যেটার মালিক আল্লাহ, তা দেওয়ার কথা যদি আমি বলি, সেটা শিরক। যারা এটি বলছে, তারা শিরক করছে।”
বিএনপি সরকার গঠনের সম্ভাবনা পেলে দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, “আমাদের সরকারের প্রথম লক্ষ্য হবে—দুর্নীতির লাগাম টানা। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, বাংলাদেশে যদি কেউ দুর্নীতির লাগাম টানতে পারে, একমাত্র বিএনপির পক্ষেই তা সম্ভব।”
আগামী দিনে দেশের জন্য কঠিন সময় আসবে বলে সতর্কবার্তা দেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, “গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বলছি, আমাদের সামনে সময়গুলো খুব ভালো নয়। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র নানা জায়গায় হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পারে দেশের জনগণ। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি এই ষড়যন্ত্র রুখতে সক্ষম। এর একমাত্র উপায় হলো—গণতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্র।”
দেশকে স্বাধীন ও সমৃদ্ধ করতে এবং জনগণকে উন্নত অবস্থায় নিয়ে যেতে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এই বার্তায় স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বিএনপির অবস্থান—দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও গণতন্ত্র রক্ষা করাই দলের মূল উদ্দেশ্য।
আপনার মতামত লিখুন :