অগ্নিকাণ্ডে শাহজালাল বিমানবন্দরের ফ্লাইট বিপর্যয়, যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে


অগ্নিকাণ্ডে শাহজালাল বিমানবন্দরের ফ্লাইট বিপর্যয়, যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিমানবন্দরের এয়ারফিল্ড রাত ৯টা পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ফ্লাইট চলাচলে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ আটটি ফ্লাইট ডাইভার্ট হলেও এরপর থেকে নতুন কোনো ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পাঠানো হয়নি।

ফ্লাইট বিলম্ব ও বাতিলের ঘটনায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অভিযোগ করেছেন, বিমানবন্দরে থাকা যাত্রীদের ফ্লাইট সংক্রান্ত কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হচ্ছে না।

এক যাত্রী জানান, তার সিঙ্গাপুরগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ছাড়ার কথা। তিনি বলেন, ‘আসার সময়ই শুনেছি বিমানবন্দরে আগুন লেগেছে। কিন্তু এখানে এসে দেখি বোর্ডে বা ডিজিটাল স্ক্রিনে কোথাও কোনো আপডেট নেই। কেউ জানাচ্ছে না ফ্লাইট ছাড়বে কি না। কুমিল্লা থেকে এসেছি, কিন্তু এখন পুরোপুরি অনিশ্চয়তায় আছি।’

আরেক যাত্রী জানান, তার সৌদি আরবগামী ফ্লাইটটি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর বাতিল করা হয়েছে। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘কোম্পানির নির্দিষ্ট সময়ের ছুটি মঞ্জুর আছে। এই সময়ের মধ্যে না যেতে পারলে ভিসা ক্যান্সেল হয়ে যাবে। এত বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমন বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া যায় না।’

অন্যদিকে, সিঙ্গাপুরগামী আরেক যাত্রী জানান, তিনি দুই ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। কর্তৃপক্ষ তাকে রাত ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছে। তিনি বলেন, ‘চাকরি পরিবর্তন করে সিঙ্গাপুর যাচ্ছি। বিলম্বে সমস্যা হতে পারে, তবে কর্তৃপক্ষ যদি সহায়তা করে তাহলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।’

এদিকে, ছয় ঘণ্টা পার হলেও বিমানবন্দরের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। যাত্রীরা বলছেন, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আরও উন্নতমানের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকা উচিত ছিল। এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,

‘এটা দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এখানে এমন ঘটনার পরও কোনো ডিসিপ্লিন বা প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না— এটা খুবই দুঃখজনক।’